প্রকাশিত: ১৬/০১/২০১৮ ৮:৪১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:০০ এএম
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা

কলকাতা প্রতিনিধি:
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে উপক্ষা করেছে-এই অভিযোগ তুলে এবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেশে ঢোকার সুযোগ করে দিয়ে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি উপেক্ষাই করছে না, এ রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ও দিচ্ছে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরে ‘দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটি’ নামে একটি এনজিও-এর পক্ষে মিয়ানমার থেকে ভারতে চলে আসা আটটি পরিবারের ২৯ জন সদস্যকে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পরই বিএসএফ’র পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দাবি ওই রাজ্যের শাসক দলের সমর্থনেই কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের সেখানে আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের কয়েকজনের কাছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু হাই কমিশন (ইউএনএইচআরসি) দ্বারা নিবন্ধিত কার্ড থাকলেও বাকীদের কাছে তা নেই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের মদদেই ওই রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক সহায়তা, খাদ্য, বাসস্থান-এর জন্য অনুদানও তোলা হচ্ছে।

এব্যপারে রাজ্যটির এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানান ‘রাজ্য সরকার ইউএনএইচআরসি নিবন্ধিত কার্ড স্বীকার করছে। তাছাড়া মমতা ব্যানার্জিও একাধিক অনুষ্ঠান থেকে বার্তা দিয়ে বলেছেন যে জাতিসংঘের নিয়ম মেনেই তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে’।

কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা নিয়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের যে নীতি নিয়েছে মমতা সরকার তা লঙ্ঘন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ‘নিরাপত্তা এজেন্সির পক্ষ থেকে পাঠানো ওই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্র নিশ্চয়ই উত্তর দেবে’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অবস্থানের ফলে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকেও যে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেকথাও স্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।

উল্লেখ্য মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার কারণে গত কয়েকবছর ধরেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে। তবে গত বছরের আগষ্টের শেষে নতুন করে সহিংসতা তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশে সবমিলিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৯ লাখের কাছাকাছি। অন্যদিকে ভারতে অবস্থান নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। যদিও দেশের নিরাপত্তার কারণেই রোহিঙ্গাদের ভারতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের তরফে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয় ‘রোহিঙ্গারা এদেশে শরণার্থী হিসাবে থাকতে পারবে না। রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি’। কেন্দ্রের ওই নীতির সমালোচনা করেই রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা।

পাঠকের মতামত

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...

বিমান ছিনতাই করেছিলেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির স্বামী

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দুর্নীতির ...